কুষ্টিয়ায় ২ শিশুকে ধর্ষণ শেষে পালিয়েছে সোবাহান !
হাসিনাঃ কুষ্টিয়ার শহরের প্রানকেন্দ্র ৪নং বটতৈল ইউনিয়নের ৭ নং খাজানগর ওয়ার্ডে ‘মজা’ কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।শিশুরা সম্পর্কে চাচাতো বোন।
১২ জুলাই ২০২৩ইং বুধবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন শিশুর বাবা। দুই শিশুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এক শিশুর মা বলেন, আমার স্বামী ও দেবর খাজানগরে অটো চাল মিলের শ্রমিক। দুপুরে তাদের খাবার দেওয়ার জন্য আমি মিলে যাই। বাড়িতে আমার ৫ বছর বয়সী ও দেবরের ৩ বছর বয়সী শিশুকন্যা ছিল। এই সুযোগে তাদের মজা কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী জমির হোসেনের ছেলে সোবাহান হোসেন (৫০)। নিজ ঘরে নিয়ে তাদের জোর করে ধর্ষণ করে। পরে পাশের লোকজন শিশুদের কান্নার শব্দ পেয়ে বাড়ীতে ঢুকে দেখে দুই মেয়ে ও অটোচালক সোবহান ।তখন ঘটনা জানাজানি হলে খবর পেয়ে ধানের চাতাল থেকে দৌড়ে বাড়িতে এসে মা – বাবা আদর করে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সোবহান কাকা তার সঙ্গে কী করেছে শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে জানায়। বিষয়টি নিয়ে সোবাহানের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন ঘটনা না জানার ভান করে। পরবর্তীতে মেয়েদের পায়জামায় রক্ত দেখলে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
শিশুর বাবা বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মিলে ছিলাম। বাড়ি থেকে বিষয়টি জানালে আমি আমার ভাইয়ের মেয়েকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করি। সোবহানের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছি।’
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে দুই শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আজ বৃহস্পতিবার রির্পোট পাওয়ার পর ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা যাবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, শিশুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে বটতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির বলেন , ঘটনা শুনেছি ও তাদের বাড়ীতে যেয়ে বিস্তারিত জানার পর আমি বলেছি শুধু শিশু নির্যাতন নয় মাদকের বিরুদ্ধে আমি সবসময় কাজ করে যাবো এবং এই জঘন্য ঘটনার অপরাধীদের ধরতে প্রশাসনকে আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো ।