কুষ্টিয়ার রবিজুল সাত স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখেই আছেন

kushtiatvkushtiatv
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:14 PM, 17 December 2023

মোঃ হাবিবুর রহমান ॥ আমরা টেলিভিশনে দেখেছি ও গল্প শুনেছি বিদেশীদের বহু স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সংসার করতে ।কিন্তু এই প্রথম বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় প্রবাসী একজন ভদ্রলোক ৭ সাতটি বিয়ে করে সুখের সংসার করে আলোচনায় এসেছেন মিডিয়াজুড়ে। তিনি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৯) নামে এক বিদেশ ফেরত যুবক। সাত বউকে নিয়ে সুখের সংসার তার। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। মায়ের মাননত পূরণ করতেই ৭ সাতটি বিয়ে করেন তিনি।

রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে। তিনি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন। বছর দুয়েক আগে আসেন বাড়ীতে। লিবিয়াতে থাকার সময়ই ১৯৯৯ সালে করেন প্রথম বিয়ে। এরপর একে একে করেন আরও ছয়জনকে।

আলোচিত রবিজুলের স্ত্রীরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বল পুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

রবিজুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি’কে বলেন, আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার প্রিয় মা আল্লাহর দরবারে মাননত করেছিলেন, ‘ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবো ’। তাই মায়ের সেই মাননত পূরণ করতে মহান আল্লাহর দয়ায় আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ স্থানীয়রা সবাই খুশি। সাতটি বউ ই আমার খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। সব স্ত্রীরা আমার আদর যত্ন নেন এবং খুব ভালোবাসেন। সারাদিন সবাই একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন বেকার লোকজনকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ড্রাইভিং শেখায়।

সাক্ষাতে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে তিনি রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পত্তির ‍দুই ছেলে রয়েছে। এরপর বিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।

পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরপুত্র রেজভিউজ্জামান কানু বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছে। খবর পেয়ে অনেকে দুর-দুরান্ত থেকে পরিবারটিকে দেখতে আসেন ।

তার স্ত্রীরা বলেন, আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সঙ্গেই সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করি না। কে কম কাজ করল বা বেশি করল, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয় না। আমরা জেনে শুনেই বিয়ে করেছি। আমাদের স্বামী এমন কিছু করেন না যাতে আমাদের মন খারাপ হবে। স্বামী খুবই ভালো মানুষ। সকলে আমাদের জন্য দুয়া করবেন ॥

আপনার মতামত লিখুন :