খোকসায় কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক সরকারি গাছ কর্তন
মিলন খোকসা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুর – রমানাথপুর ক্যালানের সামাজিক বনায়ন জিকে রোডের ১৫ কিমিঃ গাছ অবৈধভাবে কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়ার খোকসা কোর্টের রায় কে অমান্য করে খোকসা বন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও কর্মচারী নজরুল ও স্থানীয় সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমানের যোগসাজশে ৬ টি শিলকড়ই গাছ, বাবলা গাছ সহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ ও অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরোজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে রমানাথপুর-গনেশপুর সামাজিক বনসমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কামাল বলেন স্থানীয় বন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমানের যোগসাজশে তারা কোর্টের রায় কে অবমাননা করে গত দুই দিনে ৬ টি গাছ কেটে নিছে।
এবং তিনি দাবি করেন দীর্ঘ ১৫ বছর আমরা গাছগুলো পরিচর্যা করে আসছি আজ এখানে টেন্ডারে অনিয়ম হওয়ায়। গত ১২/৪/২২ ইং তারিখে ফিরোজ কামাল বাদী হয়ে কুষ্টিয়া খোকসা সরকারি জজ আদালত দেং ৩০/২২ নং দেওয়ানী মোকার্দ্দমা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা দাবি করেন খোকসা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বন সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক জোরপূর্বক তারা কোর্টের রায় কে অবমাননা করে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে খোকসা পুলিশ প্রশাসন এসে নিয়ন্ত্রন আনে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
এসকল আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোকসা বন বিভাগের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে স্থান ত্যাগ করেন।
উক্ত কোর্টের রায়ে বিষয় ভিত্তিক বিবরণ করা হয় যে বাদী পক্ষের নালিশি জিকে ক্যালানের রমানাথপুর হতে গনেশপুর বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার খালের উভয় পাশে রোপিত বৃক্ষাদী বিক্রয় ও কর্তন বাবদ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সামাজিক বন বিভাগ গত ০২/০৩/২২ তারিখের ৬ নং ট্রেন্ডার বিজ্ঞপ্তি মূল্যে গাছ বিক্রয় ও ক্রতন এর যাবতীয় কার্যক্রম হতে বিবাদী পক্ষের আপত্তি দাখিল পর্যন্ত বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।