মফস্বল সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্বের অস্তিত্ব সংকট!
দেবাশিষ দত্তঃ লড়াই যখন সাংবাদিক বনাম সাংবাদিক!
যখন নিজেকে নিয়ে বা নিজের পেশা নিয়ে সমালোচনা করার ইচ্ছে পোষন করি তখন তার দায় নিজের উপর এসে পড়ে। আমার বা আমাদের লজ্জাটা ঐখানেই। তাই সহ্য ক্ষমতা রপ্ত করে নিরবতা পালন করাই তখন মুখ্য হয়ে পড়ে। পেশা, পেশাদারিত্ব, যোগ্যতা,দায়িত্ববোধ,জবাবদিহিতা যখন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে তখন এই সমালোচনা আমজনতার বিনোদন ও পান্ডিত্য ফলানোর খোরাক বটে। সাংবাদিক হতে হলে যে একটু পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণের দরকার আছে সেটা সবাই স্বীকার করলেও শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিকই বিপক্ষে অবস্থান নেন। যেখানে হাটে ঘাটে দাদের মলম বিক্রি করতে হলেও কিছু কৌশল রপ্ত করতে হয়। সেখানে সাংবাদিকতা করতে শুধুমাত্র আমাদের দেশে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা বা প্রশিক্ষণ লাগে না। ব্যাপারটি এমন যেন সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সব অপরাধ মাফ।
সাংবাদিকদের সবচেযে বড় পদ হল সম্পাদক। স্থানীয় পত্রিকার ক্ষেত্রে যে পদটি রীতিমত সাধারণ মানুষের কাছে মর্যাদা হারাচ্ছে । যেখানে সম্পাদকদেরই কোনো যোগ্যতা লাগে না সেখানে তার অধীনে সাংবাদিকদের যোগ্যতার প্রশ্ন রীতিমত হাসির খোরাক।
মফস্বলে এই পেশার নীতি নৈতিকতা আর দক্ষতার মাপকাঠিতে অনেকটাই নিচে নেমে গেছে। এক সময় ভাবতাম শিক্ষাগত যোগ্যতা সাংবাদিকতার মাফকাঠি হতে পারে না, কিন্তু আজ সাংবাদিকতা এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে সেখানে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা নিজেদের মর্যাদা নিজেরাই ক্ষুন্ন করছি।
তাই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন-১৯৭৪ সংশোধন করে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা অতীব জরুরী ।